ওহে শ্রীল ভক্তিচারু স্বামী মহারাজ ।
তোমার বিরহে কাঁদে বৈষ্ণব সমাজ ।।
প্রভুপাদের অতি স্নেহধন্য নিজজন ।
তাঁহাদের মধ্যে তুমি সর্বদা গনন ।।
প্রভুপাদের নিত্যসিদ্ধ পার্ষদ আপনি ।
ভক্তগন ঝুরিতেছে দিবস রজনী ।।
পরম স্বতন্ত্র কৃষ্ণের বিশেষ ইঙ্গিতে ।
মোদেরে ছাড়িয়া পাড়ি দিলে গোলকেতে ।।
অনায়াসে ত্যজি গেলে এ পার্থিব ভূমি ।
কৃষ্ণের নিত্যলীলায় প্রবেশিলে তুমি ।।
তোমার বিরহে সবে কাঁদিয়া আকুল ।
কেন বা মোদেরে বিধি এতো প্রতিকূল ?
প্রত্যক্ষে তোমার আর পাবোনা দর্শন ।
একথা ভাবিয়া সবার ব্যাকুলিত মন ।।
কে’ বা শুনাইবে সুমধুর কৃষ্ণকথা ।
কে’ বা শুনাইবে প্রভুপাদ এর গুণগাথা ?
কোথা গেলে শুণিবো সে মধুর কীর্তন ।
কোথা গেলে দেখিবো সে সুভঙ্গী নর্তন ।।
চর্ব্য চোষ্য লেহ্য পেয় শ্রীকৃষ্ণ – প্রসাদ ।
কে’ বা ভুন্জাইবে আর ঘুচাবে প্রমাদ ?
তুমি তো শেখালে বিশ্বে প্রভুপাদ – নিষ্ঠা ।
তুমি তো দেখালে গুরুসেবা পরাকাষ্ঠা ।।
ভক্তজনে স্নেহযত্ন জগতে দুর্লভ ।
স্বভাব সিদ্ধ ভঙ্গিতে করিলে সুলভ ।।
তোমার দিব্য সান্নিধ্যে আসিল যে জন ।
সে জন লভিল তব সুস্নেহ যতন ।।
মধুমাখা বাণী আর কৃপাবলোকন ।
সংকীর্তন- মধুমত্ত সহাস্য বদন ।।
তোমাহেন গুণনিধি হেলে হারাইনু ।
শোকসন্তপ্ত-সাগরে মগন হইনু ।।
প্রভুপাদ এর অপ্রাকৃত দিব্য গ্রন্থাবলী ।
বঙ্গানুবাদে আপনি অত্যন্ত কুশলী ।।
দূরদর্শনেতে তব “অভয় চরণ”
দরশনে হয় লোক আনন্দে মগন ।।
প্রভুপাদ এর যশোরাশি করয়ে বিস্তার ।
দেখিয়া শুনিয়া লোকে লভয়ে নিস্তার ।।
উজ্জয়িনী বুকে ভব্য মন্দির গঢ়িয়া ।
সুকীর্তি স্থাপিলে তুমি জগৎ জুড়িয়া ।।
প্রভুপাদ এর আগ্ঞা তথা জি বি সি নির্দেশ ।
পালিতে সর্বদা কৈলে মনোভিনিবেশ ।।
চন্দ্র সূর্য ব্রহ্মাণ্ডেতে রবে যতদিন ।
নিত্য স্বরণীয় তুমি রবে ততদিন ।।
ওহে পূজ্যপাদ পরিব্রাজক আচার্য ।
তোমার বিরহে ভেঙ্গে যায় সব ধৈর্য্য ।।
তোমা অদর্শনে জগতের ভক্তকুল ।
আকুলি বিকুলি করে যেন ছিন্নমূল ।।
অশেষ গূণের নিধি হারাইয়া ধরা ।
নিঃসন্দেহে ধরা হলো মহারত্ন হারা ।।
গতকাল স্বপনেতে দিয়া দরশন ।
গাঢ় স্নেহে অধমেরে দিলে আলিঙ্গন ।।
গোলোকে কৃষ্ণের নিত্য লীলায় সংপ্রতি ।
সপার্ষদ প্রভুপাদ সহ তব স্থিতি ।।
কবে মোর সেইদিন হবেকি উদয় ।
গোলকে লভিব নিত্যলীলায় আশ্রয় ।।
তোমার কৃপায় তাহা হইবে সংভব ।
তব কৃপাবলে পাব গোলোক বৈভব।।
কাককে গরুড় কর ঐছে দয়াময় ।
তাইতো প্রার্থনা করি ছাড়ি লাজ ভয় ।।
তব আবেদনে কবে কৃষ্ণ দয়াময় ।
এহেন পামর প্রতি হবেন সদয় ।।
অপরাধি আমি, তুমি কৃপার বারিধি
নিজগুণে কৃপাকর ওহে গুণনিধি ।।
হরি গুরু বৈষ্ণব চরণে ভকতি
ভদ্রচারু দাস মাগে করিয়া প্রণতি ।।